কোমায় চলে গেছিলাম কিছুক্ষণ হোলো ফিরে এসেছি আপনাদের ভালোবাসায়,
ব্যাথা জ্বালায় সবসময় কিন্তু চারদিন হোলো ব্যাথা যন্ত্রণায় অজ্ঞান অবস্থা, অনেকক্ষণ কোমায় থেকে থেকে যখন ফিরে আসি অনেকগুলো পোষ্ট করি তারপর আবার ডুব,ডান হাত শুকিয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। ইদানিং হাতে কিছু ধরলেই ভারী না হলেও টুপ করে পড়ে যায়, ভারী যন্ত্রণার, খাবার খেতে বারবার মুখে তুলতে কষ্ট পাই। অনেক লেখার চেষ্টা করি কাগজে বিশেষ করে দুই একটা কাস্টমারকে পাঠানো নোটস নিজেই লিখি কিন্তু দু লাইন লিখতেই হাত ভাড় হয়ে ব্যাথায় কুকড়ে আসে,দশবার ঝাঁকি দেই,আম্মা না থাকলে আমি কবে পটল তুলতাম। এই এত পেছনের রুমে ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে একা একা অক্কা পেতাম।রাকিব হাসান তালা খুলে ঘরে এসে দেখতো আমি আর নাই। সারাক্ষণ মাথায়, ঘাড়ে হাতে,কোমড়ে পায়ের যে অসহ্য যন্ত্রণা আমি ভোগ করি সেটা আমার ছবিতে কখনোই প্রকাশ পায় না বুঝতে পারে শুধু পাশে থাকা রাকিব আর আম্মা।এদের আমি অনেক জ্বালাই।
এতো ভারী হইছি রাকিব মিয়ার আমাকে বিছানা থেকে টেনে তুলতে খুবই কষ্ট হয়।কত রকম জটিলতা দেখা দিয়েছে আমি তবু আশাহত নই, নিশ্চয়ই সুদিন আসবে আমার হাতটা ভালো হয়ে যাবে পা টেনে হাঁটতে হবেনা। সব শারীরিক সমস্যাগুলো কমে যাবে।
এই পৃথিবীর অলিগলিতে যতই কস্ট লুকানো থাকুক,অবহেলা আর অযত্নের গল্প থাকুক, পৃথিবী অনেক সুন্দর এখানে বহুমানুষের লড়াই করে বাঁচার প্রাণময় আখ্যান আছে, আমি আরো কিছুদিন নিজের মতো লিখতে চাই, মৃত্যুতে আমার বড্ড ভয়।যতই যন্ত্রণায় কাবু হই আমি ফিরে ফিরে আসবো আবার সবার ভীড়ে এই প্রিয় রাস্তায়।
এই ছবিটা যেদিন তোলা হয়েছে সেদিন আমি ভীষণ অসুস্থ ছিলাম,সাজগোজের আধিক্যে সব চাপা পড়ে ছিলো কিন্তু তবু আমি হাঁটতে পাড়ছিলামনা বেশীরভাগ সময় এক জায়গায় বসে থেকেছিলাম।২১ দিন ধরে টানা ব্লিডিং চলছে,একজন মেয়েই শুধু জানে এই যন্ত্রণা কতবেশী ভয়ংকর, তবু এই যে সারাক্ষণ পেইজে ম্যাসেঞ্জারে আপনাদের এতো এতো মেসেজ আসছে এটাই আমাকে কাজ করার শক্তি দেয়।
মূত্যুর আগ পর্যন্ত থামার কথা ভাবতে নেই অন্ততো আমি ভাববোনা আমি জীবনকে উপভোগ করতে চাই নানাভাবে শতবার।