এইটা একটা হুঠহাঠ করা কাজ,
বড়মামী আগেরদিন ফোন করে জানান,”মাশরুবার মেহেদী সন্ধ্যা হবে ৯ তারিখ,সবাই ঠিক করেছে সবুজ পড়বে, তোমাকে আম্মাকে নিয়ে অবশ্যই চলে আসবা,আর শরীর ঠিক থাকলে আগেও এসে একটু দেখে যেয়ো কে কি করছে,”।
পরদিন সকালে মামী মালাহিনীর জন্য সবুজ ড্রেসের জন্য কথা বলেন,” বলেন যে কাপড় আছে,মাপ পাঠিয়ে দিচ্ছি নীচে বেশী কুচি দিয়ে ফ্রকটা করে দিতে পারবে কি আর গোলাপের কাজ,” আমি জানাই পারবো, কাপড় হাতে পেয়েই দর্জি আপার কাছে যেয়ে রাতের ভেতর করে দিতে বলি। আর পরদিন গোলাপের কাজের জন্য আইরিনকে খবর দিলে ও আসে। ওকে ডিজাইন বুঝিয়ে দেই সুতা সিলেক্ট করে দেই। ও বাসায় যেয়ে কাজ কিছুটা করে ছবি দিলে আমি ম্যাসেঞ্জারে কিছু ফুল এড করি আর ভুল গুলো দেখিয়ে দেই দুতিনদিনে ড্রেসটা রেডি হয়ে গেছিলো। আইরিনের আসতে দেরী হচ্ছিলো ও নিজে ওয়াশ করে নিয়ে আসে,নিয়ে আসার পর আম্মা আয়রন করে দিয়েছিলো।
ড্রেসটা যে দেখেছে সবাই পছন্দ করেছে,আর মালাহিনীকেও সুন্দর লাগছিলো,সুতি পোশাক বাচ্চাদের জন্য ক্যারি করাও অনেক আরামের হয়।
আজকে মাশুক ভাইরা আবার অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছে, এই ছোট্ট পরীকে এবার সবাই আরো বেশী করে মিস করবে।