Jannatun Nesa Boby ভাবী আমাকে একটা ড্রেস অর্ডার করেছিলেন আমি বাড়িতে থাকতে,আমি কনফার্ম করে রেখে দিয়েছি, কিন্তু আমি যখন বাসায় ছিলাম না তখন দুএকজন বাসার পাশের মানুষ বাসায় কেনাকাটা করতে আসতেন সে সময় ড্রেসটি সেল হয়ে যায়। তো আমি জানার পর আমি ভাবীকে দ্রুত জানাই আর ভাবি বলেন যে,” উপহারের জন্য নিছিলাম সমস্যা নাই তুমি করে দিও,”। আমি করতে দিলাম আবার, বললাম দ্রুত চেষ্টা করবো দিতে। কিন্তু উঠতে উঠতে কারিগরকে বহুত তাড়া দিয়েও উঠে আসলোনা। পরে ঈদের পর রেডি হোলো।দেরী হওয়ায় আর ঈদ চলে যাওয়ায় আমি আর নক করিনি ভাবীকে।
পরে ভাবী একদিন নক করলেন স্টকের সব ড্রেসের ছবি চাইলেন ঐটার কি খবর জিগ্গেস করলেন আমি সব ছবি দেখালাম কারিগর থেকে ছবি নিয়ে দেখালাম,ফিনিশিং এ কিছু সমস্যা চোখে ধরা পড়লো, তারপর সিলেক্ট করা আরো একটা ড্রেস পেলাম না নতুন ছবি দিলাম,তারপর সেটা যতটা সম্ভব ঠিকঠাক করে দুইটা এক্সট্রা সাথে দিয়ে ভাবীকে পৌঁছে দিলাম।সব ডিটেইলস লিখে দিলাম সাথে। ভাবী পছন্দ করে দুই খালার জন্য দুইটা কালো নিয়েছিলেন।
আমার স্টকে তখন ভাবী যেমন চাচ্ছিলেন ঐরকম রঙের প্রোডাক্ট কম ছিলো বা ছিলোইনা বললে চলে,আমি ভাবীকে কয়েকবার বলেছিলাম,” আপনি অন্য কোথাও থেকে নেন আমি যখন এতোদিনেও দিতে পারলাম না খুবই দুঃখিত,” ভাবী রাগ রাগ হয়ে বলেছিলেন তেমন সমস্যা না হলে আমি অন্য কোথাও থেকে হাতের কাজের ড্রেস কম কিনি, তুমিই চেষ্টা কোরো আমার ট্রেন শনিবার রাতে,” বারবার তিনি আমাকে সময় বাড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন।তার এই কথাগুলো আর সহযোগিতা আমার সবসময়ই মনে থাকবে। এই আস্থার জায়গাটা আমি হারাতে চাইনা।
আমাকে টাকা বিকাশ করতে যেয়েও ভাবী খুব ঝামেলায় পড়েছিলেন সে আরেকটা লম্বা গল্প। ভাবী নিজেও একজন উদ্যোক্তা, ভাবীর মূল ফোকাস পণ্য বিভিন্ন ধরনের আচারের আমি একজন অদ্ভুত ক্রেতা বেশীরভাগ আচার ফ্রিতে খাই।
একজন মানুষ হিসেবে আমার জীবনে আমার উদ্যোগে তার অবদান,তার সাথে হওয়া কথা, আমার জন্য তার চিন্তা আমার কাছে অন্যরকম দামি।