ব্যবসার জন্য পুশ সেলিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া বয়ে আনে।
আমি একবার বোরখার জন্য একটি পেজে নক করেছিলাম,নরমাল সবসময় ইউজের জন্য চাচ্ছিলাম তো ঐ পেজের এডমিন আপু আমাকে জানালেন একটি র দাম ১৮০০ টাকা, দুইটি নিলে ১৫০০ করে আর তিনটি নিলে একহাজার করে, তো আমার ওনার কথা শুনে ভালো লাগেনি আমি নিবো একটা কিন্তু একটানিলে এই প্রাইস আর তিনটা নিলে এতো কম কেনো খটকা লাগলো আমি ভালো করে ছবিগুলো পরখ করলাম আর শেষমেশ কিনলাম না।
আমি মার্কেটে পায়ই যাই কাপড় আনতে তো একবার একটা কালার কিছুতেই ঐ দোকানে মেলেনি,দোকানি ভাই আমাকে পাশের দোকান থেকে পাইকারি রেটেই এনে দিলেন, আমি খুশি মনে চলে আসছিলাম ঐ দোকানের সামনে দিয়ে আসার সময় দোকানী আমাকে ডাকতে থাকলেন,” আপা আসেন আপা আমার দোকানে আরো ভালো পাবেন, অনেক রঙ আছে কোনটা চাই, ঐ দোকানের থেকে ভালো আছে এই কথাটাই ভালো লাগলোনা শুনতে আমি চলে আসলাম সে গজগজ করতে থাকলো। ওনার দোকানে আসলে আমি এমনিতেই যেতাম রঙগুলো দেখতে কিন্তু উনি ওভাবে ডাকায় আর যাইনি।
আমি একপেজ থেকে খাবার অর্ডার করতে চাইলাম, তো উনি আমাকে জানালেন পরিমাণে বেশি নিলে উনি আমাকে ফ্রি ডেলিভারী চার্জ দিবেন, কিন্তু আমার অল্পই লাগতো, আর খাবার কেনার ক্ষেত্রে ডেলিভারী চার্জ আমি দিয়েই থাকি এটাতে আপত্তি নেই কোনো,কিন্তু উনি বারবার বলতে থাকলেন ডেলিভারী চার্জ ফ্রি দিবো।আমি অর্ডার না করেই ফিরে আসলাম। উনি পুশ সেলিং করছিলেন যা আমার পছন্দ হয়নি।
আমি আমার পেজে একহাজারের উপরে সব ধরনের কেনাকাটায় সবসময়ই ডেলিভারী চার্জ ফ্রি দেই এবং তা সবসময়ের প্রতিবারের ক্রেতার জন্যই, রাজীব আহম্মেদ স্যার ডেলিভারী চার্জ ফ্রি করা নিয়ে উপদেশ দেওয়ার পর থেকে আমি তা শুনে আসছি এবং সেটা কাস্টমারের সাথে ডিলের শেষে জানিয়ে দেই যে ডেলিভারী চার্জটি ফ্রি রাখা হয়েছে ওনার জন্য।যেহেতু আমি অনেক ছোটখাটো পণ্য নিয়েও কাজ করি তাই এটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।বেশি নিলে আপনাকে ডেলিভারী চার্জ ফ্রি দিবো বিষয়টা এমন কখনো নয়।
আমি একবার একদোকানে এমনিতেই যাই কাপড় দেখার জন্য আমি ওনাকে প্রথমেই বলি আজ নেবোনা শুধু দেখতে এসেছি, উনি খুব খুশি মনেই আমাকে অনেক কাপড় দেখান, একটুও বিরক্ত হননি আজ নেবোনা বলে,আমি ওনাকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসি, ওনার ব্যবহার ভালো লাগায় পরবর্তীতে আমি ওনার দোকান থেকে বেশ কিছু কেনাকাটা করেছি।উনি কোনো ধরনের পুশ সেলিং করেননি বলেই আমার ভালো লেগেছে।