আমার আব্বার খুব পছন্দের রঙ ছিলো গোলাপী, হাল্কা গোলাপী,মিস্টিকালার আর সাদা,,,,,
বিয়ের পর থেকে আম্মার জন্য প্রতি বছর আর দুই ঈদে কেনা কাপড়ের রঙ প্রতিবারি হোতো হালকা গোলাপী আর মিস্টি কালার, আম্মা একই রঙ পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে রাগ দেখিয়েছেন বহুবার, এখনো আম্মার জন্য আব্বার কেনা ব্লাউজ পিস তোলা আছে কিছু সবই হালকা রঙের, কালো রঙ তার বড্ড অপছন্দের ছিলো আমাকে কখনো কালো পোশাক পড়তে দিতে চাননি,,,
আব্বা চলে যাওয়ার আগে আমি কালো আর অন্য রঙের মিশেলে একটা ড্রেস কিনেছিলাম কিন্তু বানানো হয়নি, যদিও এখন সব রঙ কিনি নিজের জন্য তারপরেও আমারো সব হালকা রঙ পছন্দ, এবার আমি আগেভাগেই একটা বাটিক নিয়েছি কালো বিস্কিট,লাল,ঘিয়া নানা রঙের মিশেলে,বানাতে দেইনি কবে পড়বো জানিনা, তবে আব্বাকে মনে পড়ে বলেই একেবারে কালো আমি কখনো নেইনি বোরকা ছাড়া।
তো কাজের জন্য গজ কাপড়,থ্রিপিস বা শাড়ি যাই কিনতে যাই প্রথমেই আমার চোখে পড়ে হালকা রঙের কিছু, মনে হয় যে পড়বে তাকেই ভারী মিস্টি লাগবে,,,
আমি খুব সুন্দর করে পরিপাটিভাবে শাড়ি পড়তে পারিনা,কখনো চেষ্টা এই কাজটাতে আমি করিনি, কিন্তু তবু শাড়ি দেখলে লোভ লাগে মনে হয়,”ইশ রঙটা কি সুন্দর নিয়েই ফেলি মন্দ লাগবেনা,”,,,,,,,
শাড়ি এমন একটি পোশাক যে সববয়েসের নারীদের অনায়াসেই মানিয়ে যায় যেকোনো অনুষ্ঠানে,
তো যতই আমার জন্ম আর বেড়ে ওঠা এই যশোরেই তারপরও আমি হচ্ছে যশোরের বউ আর সিরাজগঞ্জের মেয়ে,আব্বা খুব বাড়ি পাগল মানুষ ছিলেন তার মেয়ে হয়ে আমি শেকড়কে ভুলতে পাড়বোনা,,,, আর সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্য হচ্ছে তাঁতশিল্প। সেই তাঁতশিল্পের ছোয়া আমার উদ্যোগে থাকবে না তা কি হয় কখনো, অনেক শাড়ি এনেছিলাম এবার, মাত্র কয়েকটা আছে ছবি দেওয়ার আগেই আর সব চলে গেছে নিজ নিজ গন্তব্যে।