Uncategorized

গল্পটা একটা মিস্টি সম্পর্কের❤❤,,

আমার ছবিটা দেখেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ঠিক কতকাল আগের অর্ডার, এই অর্ডারটা নিয়ে আমার লজ্জার শেষ নেই।

গত বছর শীতে নকশাটা প্রথম আনার সাথে সাথেই নিপা আপুর নক,” এই রুকু শালটাতো সেই সুন্দর আমার চাই,আচ্ছা শোন সাইডে বর্ডার লাইন করেদিস একটু হাসিয়া দিয়ে,” আমি বললাম,”আচ্ছা করে দিবো সময় লাগবে,আপু বলেছিলো,”আচ্ছা শীত থাকতে দিস
কিন্তু,”।

এরপর আমি শালে ছাপ দিয়ে করতে দিয়ে দিলাম,তারপর হুঠ করেই বাড়িতে গেলাম,গিয়ে পড়লাম আটকা,আর আসিনা আসিইনা, আপু প্রায়ই নক করেন,”রুকু কি খবর,” আমিও কর্মীদের নক দেই,” আপা কি খবর,”শাল আর ওঠেনা।আমি ভেবেছি শীত থাকতে থাকতে বাড়িতে যাবো আপুকে ডেলিভারী দিয়ে দিবো।তো আমিও আর আসতে পারিনি, পরে খোঁজ নেই আবার শুনি একসাথে দেওয়া বেশীরভাগ শাল উঠে এসেছে ঐটা উঠে আসেনি, তারপর একসময় শালটা উঠলো শীত প্রায় শেষের পথে,রাকিবকে বললাম ছবি তুলে দিতে।

ছবি দেখে অবাক বর্ডার লাইন কর্মি করেনি,শেলী আপাও ধোয়ার সময় খেয়াল করেনি শাল ইস্ত্রিও হয়ে গেছে। অথচ মারিয়া নিজে বর্ডারের হাসিয়ার লাইন টেনে দিয়েছে। তারপর খুব একটু মন খারাপ রাগ করলাম। কর্মী আপারা এতো লক্ষ্মী আবার একে আবার করে দিলেন কিন্তু ততদিনে শীত শেষ।

আমি বাড়ি ফিরলাম এই গরমে।আর এতোদিনে একদিন বিকেলে এই কাঠফাটা রোদে শালটা গায়ে জড়িয়ে দুই একটা ক্লিক, Hasan Masud Utsho বেশ সুন্দর ছবি তোলে।

তারো দুদিন পর আপুকে ছবি দিলাম,” আপু বললো,”খুব সুন্দর তাড়াতাড়ি পাঠাস,আমাকে দিবিতো,” আমি বললাম,”পাগল তুমি কেনো দেবোনা,”।

পরে আবার দুতিনদিন পর ঠিকানা নিয়ে কুরিয়ার করেছি, আর সাথে আমার মেয়ে মুসকান পাখির জন‍্য ছোট্ট একটা আদর উপহার,আপু হাতে পেয়ে খুবই খুশী হয়েছেন,বলেছে,” দারুণ সবকিছু,তোর চিঠি,শাল,জামা জাস্ট ওয়াও,আমাকে আরেকটা হালকা শাল করে দিস,”।

আমি জানি Surovy Amir আপু আমাকে অনেক ভালোবাসে,কত ছোট থেকে দেখেছে,কোনো ভুল হলেও বলবেনা,কিন্তু আমি তারপরো চেষ্টা করেছি নিজের বেস্টটা দেওয়ায়। অনেকটা দেরী আমি করেছি অনিচ্ছাকৃতভাবে তবু জানি আপু বুঝবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site is protected by reCAPTCHA and the Google Privacy Policy and Terms of Service apply.