আমি যখন সিরাজগঞ্জ ছিলাম,তখন আসমাউল হুসনা আপু নক করেন, আপু এর আগে তার বান্ধবীর সাথে দুজনে সেম কালারের দুইটা অয়ানপিস নিয়ে ছিলেন।
আপু বললেন,” আপু সেম ম্যাচিং সেম কালার কি আরেকটা করা যাবে আমার বড় আপুর জন্য নিতে চাই,”
আমি আপুকে জানালাম যে কাপড়ের থান আলাদা হলে কালার কিছুটা উনিশ বিশ হয় আপু আমি সেম করার চেষ্টা করবো,সময় লাগবে।কিন্তু আমি বাড়িতে দীর্ঘদিন ছিলাম এর ভেতর কারিগর একটা করে সেটার কয়েক জায়গায় ফেসে যায়। আমি আবার নতুন করে করতে দেই।দীর্ঘ সময় পর ড্রেসটি রেডি হয়।
আপুকে নক দিলে জানতে পারি আপু গ্রামে আছেন একবারে রোজার ঈদের পর আসবেন,যদি সমস্যা না হয় যেনো রেখে দেই তখন ডেলিভারী নিবেন। আমি নিশ্চিন্ত করি আপুকে যে অবশ্যই রেখে দিবো। তারপর ঈদের পর আপু বললে ডেলিভারী দেই, সেই সাথে আপুর বড় আপুর ছোট্ট টুনটুনি পাখির জন্য হালকা গোলাপি কালারের ফ্রকটা সাথে দেই।
আপু পরেরদিনই পার্সেল পান,কল দিয়ে জানান,” আপু ভীষণ সুন্দর হয়েছে সবকিছু, আপনি আবার বাবুর জামা দিয়েছেন খুবই সুন্দর সব কিছু,আপনি এতোটা অসুস্থ তারপরো করে দিয়েছেন,অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,”
আমি আপুকে বলেছিলাম,”এতো এতো দেরী হয়েছে দিতে আপু আপনি প্লিজ কিছু মনে করবেননা,ভালো থাকবেন,দোয়া করবেন আমার জন্য,”।
ডেলিভারী অল্প অল্প যাক কিন্তু প্রত্যেকটা পার্সেলের সাথে পাওয়া আপুদের দেওয়া ফিডব্যাকগুলো ভীষণই ভালো লাগার।